Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
জাতীয় সংগীত গেয়ে ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যেখানে একসুরে তিন লাখ কণ্ঠ গেয়ে উঠবে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’।
বিস্তারিত

২৬ মার্চ বুধবার স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নানা আয়োজনের পাশাপাশি থাকছে ইতিহাস গড়ার এই ঐতিহাসিক অধ্যায়। 

২০১৩ সালের ৬ মে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ বুকে স্থান করে নিয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার (ভারত)। ওই আয়োজনে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন অংশ নিয়েছিলেন।

সে হিসাবে ৩ লাখ কণ্ঠের মহামিলনে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনিজ বুকে রেকর্ড গড়া থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টা দূরত্বে আছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের পর ৩মার্চ  পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে ঘোষিত ইশতেহারে “আমার সোনারবাংলা” গানকে জাতীয় সংগীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিলমুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয়সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়।

‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সরাসরি দেখতে পারবেন দর্শকরা।

এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশ বেতারেও শ্রোতারা শুনতে পারবেন।

‘সবার জন্য’ উন্মুক্ত আয়োজনটি শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, নিজ উদ্যোগে জেলা, উপজেলায় একই সময় সমবেত কণ্ঠে শোনা যাবে জাতীয় সংগীত।     

ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হলে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।এছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, গার্মেন্ট কর্মী, সশন্ত্র বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি ছাড়াও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নিতে পারবেন।

তবে অংশগ্রহণকারীরা কেউ প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন বহন করতে পারবেন না।

প্রবেশের সময় প্রত্যেককে একটি করে ব্যাগ দেয়া হবে। এই ব্যাগে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও নিয়মাবলী লেখা সংবলিত একটি কার্ড, পানি, জুস, স্যালাইনসহ তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ওষুধ থাকবে। প্রতিটি ব্লকে ৫০ জন অংশ নিতে পারবেন।

সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে।উপস্থিতির সংখ্যা ৩ লাখের বেশি হলে অতিরিক্তরা রোকেয়া সরণিতে সমবেত হয়েঅংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সকাল ৮টায় শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় দেশবরেণ্য এবং খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলেও মূল পর্ব ১১টায়। চূড়ান্ত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আগে করানো হবে অনুশীলন।

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে।

অনুষ্ঠনের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

বাংলাদেশের আরো খবর

লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা: বিডিনিউজ২৪ডটকমে সরাসরি

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
26/03/2014